
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সাধারণত পরীক্ষাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যায়, যেখানে পড়া মুখস্থ করা ও মনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধুমাত্র মুখস্থ নয়, বরং বুদ্ধিমত্তার সাথে পড়াশোনা করলে তা দীর্ঘমেয়াদে কাজে আসে। চলুন, জেনে নিই কিছু কার্যকর উপায়, যা আপনাকে সহজে পড়া মনে রাখতে সহায়তা করবে।
শুধুমাত্র মুখস্থ না করে, পড়ার বিষয়বস্তু ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। কোনো জিনিস বুঝে পড়লে তা অনেকদিন মনে থাকে এবং প্রয়োগ করতে সুবিধা হয়।
নোট নেওয়ার অভ্যাস করলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সহজে মনে রাখা যায়। মূল পয়েন্টগুলো সংক্ষেপে লিখে রাখলে পরীক্ষার আগে সহজেই রিভিশন দেওয়া সম্ভব হয়।
পড়া একবার পড়েই ভুলে গেলে হবে না। নির্দিষ্ট সময় পরপর রিভিশন করলে তা মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে।
চিত্র, ডায়াগ্রাম, কোটস, এক্রোনিম এবং গল্প তৈরি করে পড়ার বিষয়বস্তু মনে রাখা সহজ হয়। যেমন, ইতিহাসের তারিখ মনে রাখতে সংক্ষিপ্ত বাক্য বানিয়ে নিলে তা সহজে স্মরণ করা যায়।
একই জায়গায় বসে দীর্ঘসময় পড়ার পরিবর্তে মাঝে মাঝে পরিবেশ পরিবর্তন করুন। নতুন পরিবেশে পড়লে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং পড়া দ্রুত মনে থাকে।
বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে পড়লে বিষয়বস্তু আরও পরিষ্কার হয় এবং দীর্ঘদিন মনে থাকে। পড়ার সময় প্রশ্নোত্তর পর্ব করলে বিষয়বস্তু আরও ভালো বোঝা যায়।
মস্তিষ্ক বিশ্রাম না পেলে মনে রাখার ক্ষমতা কমে যায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন এবং অতিরিক্ত চাপ না নিয়ে পড়াশোনা করুন।
সঠিক পরিকল্পনা করে পড়লে তা আরও কার্যকর হয়। পরীক্ষার আগের রাতেই সব কিছু পড়ার চেষ্টা না করে নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী পড়ুন।
যদি কোনো কিছু শিখে অন্য কাউকে শেখাতে পারেন, তাহলে তা আরও ভালোভাবে মনে থাকবে। তাই পড়ার বিষয়টি বন্ধুদের সাথে আলোচনা করুন বা কাউকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন।
একটানা বেশি সময় পড়ার পরিবর্তে কিছুক্ষণ পরপর বিরতি নিন। এতে মস্তিষ্ক রিফ্রেশ হয় এবং পড়া আরও কার্যকরভাবে মনে থাকে।
পড়ার বিষয়বস্তু দ্রুত ও দীর্ঘমেয়াদে মনে রাখতে হলে কৌশল অবলম্বন করতে হবে। মুখস্থ নয়, বুঝে পড়ার অভ্যাস, নোট নেওয়া, রিভিশন করা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো সম্ভব। উপরের কৌশলগুলো অনুসরণ করলে আপনার পড়াশোনার কার্যকারিতা নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পাবে।
0 comments